
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়াহ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার হায়থাম আলী তাবাতাবাই নিহত হয়েছেন। রবিবার হারেত হরেইক এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে এ হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ২৮ জন আহত হন। খবর আল জাজিরা।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে তাবাতাবাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও সংগঠনের ভেতরে তার আনুষ্ঠানিক পদ উল্লেখ করা হয়নি, তিনি হিজবুল্লাহর সশস্ত্র শাখার চিফ অব স্টাফ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের হাতে নিহত হওয়া তিনি সবচেয়ে উচ্চপদস্থ হিজবুল্লাহ কমান্ডার।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লক্ষ্য করেই তাবাতাবাইকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও বলেছে, এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিলেন তিনিই। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, গত যুদ্ধকালীন সময়ে তাবাতাবাইকে হত্যার এটি ছিল তৃতীয় চেষ্টা।
হামলার পর হিজবুল্লাহর সিনিয়র নেতা মাহমুদ ক্বোমাতি বলেন, এটি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে “রেডলাইন অতিক্রম”। সংগঠনের নেতৃত্ব এখন প্রতিক্রিয়া জানানো হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করছে। তার ভাষায়, “আজকের হামলা লেবাননজুড়ে আক্রমণের মাত্রা বাড়ানোর দ্বার খুলে দিয়েছে।”
১৯৬৮ সালে বৈরুতে জন্ম নেওয়া তাবাতাবাইয়ের বাবা ইরানি ও মা লেবানিজ। শৈশব কেটেছে দক্ষিণ লেবাননে। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি হিজবুল্লাহতে যোগ দেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। সরকারি বার্তা সংস্থা এনএনএ জানায়, আল-আরিদ স্ট্রিটের ভবনটিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আশপাশের গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়।





























