
গত বছরের ভয়াবহ গণ-অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন বড় ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৬৪ জন শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
এছাড়াও ৪৬ জন বর্তমান শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ৯৯ জন সাবেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জনের শিক্ষাসনদ চিরতরে বাতিল করা হয়েছে, বাকি ৬ জনের সনদ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় এই সিদ্ধান্ত নেয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্ত অনুযায়ী, মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ২২৯ জন। এর মধ্যে ১৩০ জন বর্তমান ও ৯৯ জন সাবেক শিক্ষার্থী।”
তিনি জানান, ৬৪ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, ৩৭ জনকে ২ বছরের জন্য, ৮ জনকে ১ বছরের জন্য, এবং ১ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপাচার্য আরও জানান, ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশের অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিচারযোগ্য নয়। তাই এদের বিচারের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)-এ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৪০ জনকে অব্যাহতি
তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ৪০ জন শিক্ষার্থীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন বর্তমান ও ২০ জন সাবেক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি। ভিডিও ফুটেজেও তারা নেই। এ কারণেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”



























