
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিজয়-২৪ হলের ৮৩ জন শিক্ষার্থী ‘বিজয় ফিস্ট’ এর খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খাবারে নিম্নমান ও ত্রুটির অভিযোগে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে হল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ২০০১ সালের ২৪ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে আয়োজন করা হয় ‘বিজয় ফিস্ট’। এতে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ৫০ টাকার বিনিময়ে খাবারের টোকেন সংগ্রহ করে অংশ নেন। তবে বিজয়-২৪ হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই ফিস্টের খাবার খাওয়ার পর থেকেই পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক ও ফুড পয়জনিংয়ে ভুগতে থাকেন।
বিজয়-২৪ হলের ৪২১ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী সাগর মাহমুদ জানান, “আমরা তিনজনই একসঙ্গে ফিস্টের খাবার খেয়েছি। খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই পেট ব্যথা শুরু হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে ওষুধ নিতে হয়।”
খাবারে অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি ফেসবুকে জানালে দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ছাত্ররা হল প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এর পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জামিরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা জানতে পেরেছি, অন্তত ৮৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। কারও গ্যাস্ট্রিক, কারও আবার ফুড পয়জনিং হয়েছে। তবে এখন সবাই আশঙ্কামুক্ত।”
তিনি আরও জানান, “খাবারে কী সমস্যা হয়েছিল, তা জানতেই একটি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি বলেন, “আমি আজ দায়িত্বে ছিলাম না, তবে দায়িত্বে থাকা তিনজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের কাছে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী পেটের সমস্যায় চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বিজয়-২৪ হলের মোট আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬৪ জন। অভিযোগ অনুযায়ী, অসুস্থ শিক্ষার্থীর সংখ্যা এর প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।



























