
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়াতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, বৈষম্য ও অসন্তোষ দূর করতে চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত সুপারিশ চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রস্তাব দিয়েছে, বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে থাকা সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা হোক। অর্থ মন্ত্রণালয়ও এতে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সহকারী শিক্ষকদের সর্বনিম্ন মূল বেতন হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে তাদের স্কেল ১১ হাজার টাকা।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানান, সহকারী শিক্ষকদের পদবিও ইতোমধ্যে ‘শিক্ষক’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন তাদের বেতন-গ্রেড উন্নীত করে মর্যাদা ও বৈষম্য দুটোই ঠিক করা হবে।
শুধু শিক্ষকই নয়, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউএপিইও) থেকে শুরু করে বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ডিডি) পর্যন্ত সব পর্যায়ের কর্মকর্তার বেতন এক ধাপ করে উন্নীত করার সুপারিশ চূড়ান্ত হচ্ছে।
সরকারের কাছে দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাবে শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডের (১১ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ১১তম গ্রেড (১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) করার কথা বলা হয়েছে। সারাদেশে ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন সাড়ে তিন লাখের বেশি।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউএপিইও) ১০ম গ্রেডের (১৬ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে নবম গ্রেড (২২ হাজার টাকা স্কেল) দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সারাদেশে এই পদের সংখ্যা দুই হাজার ৬০৭টি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউপিইও) দেওয়া হবে নবম গ্রেডের (২২ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে অষ্টম গ্রেড (২৩ হাজার টাকা স্কেল)। এ পদে সারাদেশে কর্মরত ৫১৬ জন কর্মকর্তা।
দেশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) আছেন ৬৮ জন। তাদের বেতন সপ্তম গ্রেডের (২৯ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ষষ্ঠ গ্রেড (৩৫ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) দিতে সুপারিশ করা হচ্ছে।



























