সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড় পরিসরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রায় ১৭ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলতি আগস্টের শেষের দিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যমান সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংশোধিত খসড়া ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সংশোধিত বিধিমালায় নারী কোটা ও পোষ্য কোটার মতো কয়েকটি কোটা বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি, অধিদপ্তর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগবিধিতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতদিন এসব প্রতিষ্ঠানে যেসব পদে পদোন্নতির সুযোগ ছিল না, নতুন বিধিমালায় সেই সুযোগ রাখা হচ্ছে।
সংশোধিত বিধিমালায় নারী কোটা ও পোষ্য কোটাসহ কয়েকটি কোটা বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি, অধিদপ্তর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগবিধিতেও পরিবর্তন আনা হবে। আগে যেসব পদে পদোন্নতির সুযোগ ছিল না, নতুন বিধিমালায় সেই সুযোগ রাখা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মধ্যে সহকারী শিক্ষক (সংগীত) পদে ২ হাজার ৫৮৩ জন এবং সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদে সমানসংখ্যক নিয়োগ দেওয়া হবে। মোট নিয়োগের ৯৩ শতাংশ প্রার্থী মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন। এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা ১ শতাংশ করে এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ পদ সংরক্ষিত থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এসব বিদ্যালয়ে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এবং শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।



























