শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: নারী কোটা বাতিল, নতুন পদ সৃষ্টির ঘোষণা


primary-school
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বড় পরিবর্তন এনেছে সরকার। আগের বিধিমালার দীর্ঘদিনের কোটা পদ্ধতি বাতিল করে নতুনভাবে মাত্র ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নারীদের জন্য আলাদা কোটা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। এ বিধিমালার নাম দেওয়া হয়েছে- ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’।

নতুন বিধিমালায় সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য মোট পদের ২০ শতাংশ এবং অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ৮০ শতাংশ পদ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

নতুন বিধিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর ফলে আগের ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ রহিত বলে গণ্য হবে।

পুরোনো বিধিমালায় কী ছিল?

আগের বিধিমালা (২০১৯) অনুযায়ী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ কোটা ছিল নারীদের জন্য। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ ছিল পোষ্য কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা। নতুন বিধিমালায় সেই ব্যবস্থার সম্পূর্ণ অবসান ঘটানো হয়েছে।

নতুন কোটার কাঠামো

নতুন নিয়মে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৯৩ শতাংশ মেধাভিত্তিক এবং ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে- ৫% মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য, ১% ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থী জন্য, ১% শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। তবে এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলো মেধাভিত্তিতে পূরণ করা হবে।

বিশেষ বিধান

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া উপজেলা বা ক্ষেত্রবিশেষে থানাভিত্তিক হবে। পাশাপাশি সরাসরি ও পদোন্নতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ থাকবে।