
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথমবারের মতো রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এ সেন্টারটি রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যখাতে চীন সরকারের ধারাবাহিক সহযোগীতার চিত্র তুলে ধরে ভূয়সী প্রশংসা করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা আরও গভীর হচ্ছে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীনের সব হাসপাতাল এখন বাংলাদেশি রোগীদের জন্য উন্মুক্ত। আন্তর্জাতিক মানের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় অভিজ্ঞ চীনা হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগীদের চেকআপ, পুনর্বাসন ও উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থাকবে।
চীনের কারিগরি সহায়তায় গড়ে ওঠা এই সেন্টারের রোবটগুলো বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন প্রযুক্তি সেবা দেবে, যা এতদিন শুধুমাত্র উন্নত দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল।
এই সেবা বিশেষভাবে দেওয়া হচ্ছে—স্ট্রোক,পক্ষাঘাত, দুর্ঘটনায় আহত রোগী, ফ্রোজেন শোল্ডার, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, শিশুদের মস্তিষ্কের আঘাতজনিত দুর্বলতা, অঙ্গপ্রতিস্থাপনজনিত সমস্যা। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, চীন সরকার প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের রোবোটিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। সেন্টারটিতে রয়েছে মোট ৬২টি রোবট, যার মধ্যে এমবিএসএই বেসিক সেন্টারে ২টি রোবট ব্যবহার হচ্ছে। এই রোবটগুলোতে রয়েছে—মোটর কন্ট্রোল, রোবোটিক আর্ম, রোবোটিক মোবাইল বেস, মুভমেন্ট সাপোর্ট, ইন্টেলিজেন্ট কন্ট্রোল সিস্টেম। এর মাধ্যমে রোগীরা প্রতিদিন ২ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৫ দিন চিকিৎসা নিতে পারবেন।
এই পুনর্বাসন কেন্দ্র চালুর পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে চীনের ৭ সদস্যের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল বিএমইউর ২৭ জন চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহীনুল আলমসহ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।


























