
আজ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় শেষ হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। তাই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি, জানাচ্ছেন নানা কর্মপরিকল্পনা। তবে শেষ সময়ে এসেও সুষ্ঠু ভোট, নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ আর নানা ষড়যন্ত্র নিয়ে শঙ্কা কাটছে না প্রার্থীদের মনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবশ্য উপভোগ করছেন নির্বাচনী আমেজ। তবে গতকাল শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল কম, প্রচারণা হয়েছে মূলত হলকেন্দ্রিক।
দিনের শুরুতে হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে প্রচারণা চালান ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “অতীতের অপরাজনীতির সংস্কৃতি ফেলে সুস্থ ও ঐক্যের রাজনৈতিক চর্চা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নারী বা পুরুষ হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে কাউন্ট করাই আমাদের লক্ষ্য।” নির্বাচিত হলে নারী হেনস্তা রোধে বিশেষ সেল গঠনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
অপরদিকে, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, “আমরা চাই মেয়েরাও গণহারে ভোট দিতে আসুক। এ বিষয়টি নিয়েই আমরা বেশি উৎসাহ দিচ্ছি।”
এদিন অমর একুশে হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন এস এম ফরহাদ ও আবু বাকের মজুমদার। তারা সাংবাদিকদের কাছে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে জরুরি ব্রিফিং করেন স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ রাজনৈতিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক।” একই সময়ে ছাত্রদল ভোটের পরিবেশ নিয়ে চিফ রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
আজ রাতেই শেষ হবে প্রচারণা। হাতে থাকবে মাত্র একদিন। এরপর আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। নানা শঙ্কা থাকলেও প্রত্যাশা একটাই- এবারের নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও দৃষ্টান্তমূলক।



























