শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

৩৩ বছর পর জাকসুতে ভোট আজ


Jakshu
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর এ নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্যাম্পাসে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ভোট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৩৩ বছর পরের এ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। ভিপি পদে লড়ছেন ৯ জন এবং জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী।

তবে শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।

মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৯ জন, যার মধ্যে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচারণার সময়সীমা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার রাত ১২টায়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। টিক চিহ্ন দিয়ে ব্যালট পেপারে ভোট দিতে হবে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি করে বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট ও সমসংখ্যক সহকারী অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

নিরাপত্তা জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে ১ হাজার ২০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন নমুনা দিলেও ৫৬ জন প্রার্থী বাধ্যতামূলক টেস্টে অংশ নেননি।