
জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ২২৪টি বুথ।
ছাত্রদের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
অন্যদিকে ছাত্রীদের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ভোটার ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত আটটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করছেন ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) ও সমসংখ্যক সহায়ক পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা)। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভোট গণনা করা হবে।
নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন রয়েছে ১৫০০ পুলিশ, সাত প্লাটুন বিজিবি ও পাঁচ প্লাটুন আনসার। এছাড়া ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।



























