
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তি সুবিধা বা প্রাতিষ্ঠানিক কোটা (পোষ্য কোটা) আপাতত স্থগিতই থাকবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিকেল সোয়া পাঁচটায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ সাংবাদিকদের জানান, পোষ্যকোটাকে ঘিরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে-একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি এবং একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।
এদিকে, পোষ্য কোটা স্থগিতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে ক্যাম্পাসে পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করবেন।
শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নেতারা জানিয়েছেন, তাদের দাবি মানা না হলে এই কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের কার্যক্রমকে শাটডাউনের আওতার বাইরে রাখা হবে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক জরুরি একাডেমিক সভায় ১০ শর্তে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা আন্দোলনে নামেন। শুক্রবার বিক্ষোভ-অনশন থেকে শুরু করে শনিবার পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যের গাড়ি আটকায়, বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশে বাধা দেয়। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হন। পরে রাতভর অবরুদ্ধ থাকার পর চাপের মুখে রাত পৌনে দুটায় পোষ্য কোটা ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা বাতিল করেছিলেন উপাচার্য। তবে এর বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বরের চিঠিতে তারা ১৮ তারিখের মধ্যে দাবি না মানলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।



























