
দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সহকারী প্রধানের নিয়োগ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ৫ অক্টোবর জারি করা এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন বিভাগটির উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলী। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আদেশের কপি প্রকাশ করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভবিষ্যতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার ও সহকারী সুপার) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে।
এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান/সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। অনেক দিন ধরেই বেসরকারি কলেজ ও স্কুলে প্রধান ও সহকারী প্রধান নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছিল।
এখন থেকে এসব পদে নিয়োগের আগে প্রার্থীকে এনটিআরসিএর নিবন্ধন ও যোগ্যতা যাচাইয়ের আওতায় আসতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষক সমিতিগুলো বলছে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ফলে আপাতত অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, কারণ অনেক জায়গায় প্রধানের পদ শূন্য রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি যোগ্য ও নিরপেক্ষ নিয়োগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তারা।
একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “এটা সাময়িক স্থগিতাদেশ হলেও মূল লক্ষ্য হলো পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে একক কর্তৃপক্ষের অধীনে আনা। এতে নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই কমবে।”



























