
তবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলমান অবস্থান কর্মসূচি আগের মতোই চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা
দশম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবিতে চলমান অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। তবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলমান অবস্থান কর্মসূচি আগের মতোই চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ নেতারা। পরিষদের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, বৈঠকে আলোচনার ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়েছে, সোমবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আলোচনায় অগ্রগতি থাকায় আপাতত কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
এর আগে শনিবার (৮ নভেম্বর) শাহবাগে শিক্ষকদের ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনায় বহু শিক্ষক আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন।
সহকারী শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করা, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। কর্মবিরতির কারণে এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই সিদ্ধান্তে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করেন।


























