
ফাইল ছবি
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর এমবিবিএস কোর্সে আসন সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। নতুন সিদ্ধান্তে ২৮০টি আসন কমিয়ে ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস আসন দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০০।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সঞ্জীব দাশ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেনের কাছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ অক্টোবর উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
আগে সরকারি মেডিকেলের মোট আসন ছিল ৫ হাজার ৩৮০। নতুন সিদ্ধান্তে তা নেমে এসেছে ৫ হাজার ১০০-তে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ ১৪টি মেডিকেল কলেজে মোট ৩৫৫টি আসন কমানো হয়েছে। বিপরীতে তিনটি মেডিকেলে ৭৫টি আসন বাড়ানো হয়েছে।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির আটটি পুরোনো মেডিকেল কলেজ- ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এমএজি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, স্যার সলিমুল্লাহ (ঢাকা) ও রংপুর মেডিকেল কলেজে
আগে আসন ছিল ২৫০, কমিয়ে ২২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে (প্রতি কলেজে ২৫টি কম)।
এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৫টি কমিয়ে ২৩০ থেকে ২২৫টি আসন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে আসন বেড়েছে। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫টি করে বাড়িয়ে আসন হয়েছে ১২৫টি, আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫টি বাড়িয়ে ১০০টি করা হয়েছে।
অন্যান্য মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
বর্তমানে ২০০ করে আসন রয়েছে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে। ১০০ করে আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেলে ১২৫টি করে, এবং সুনামগঞ্জ মেডিকেলে ৭৫টি আসন রয়েছে। চিঠিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে পুনর্বিন্যাস অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ সিদ্ধান্তে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার মান ও অবকাঠামো সক্ষমতা উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।



























