শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ১১ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৫২ অপরাহ্ন
শেয়ার

ড্যাফোডিলে পর্তুগিজ রাজবংশের প্রতিনিধি ও লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ চুক্তি


Daffodil

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই “Tea Mastering” বিষয়ে একটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করবে

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এক ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর)। পর্তুগালের রাজপরিবারের প্রধান এইচআরএইচ ডম দুয়ার্তে পিও, ডিউক অব ব্রাগাঞ্জা, রাজকীয় সফরে এদিন সকাল ১১টায় সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসে আসেন।

এই সফরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ (London Tea Exchange) এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর। এই চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈশ্বিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। একই সঙ্গে, ফেয়ার পে চার্টার (Fair Pay Charter)–এর বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ বিশ্বব্যাপী বিলাসবহুল চা বিপণনের পাশাপাশি নৈতিক ব্যবসা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য সুপরিচিত। প্রতিষ্ঠানটি ফেয়ার পে চার্টার-এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য মজুরি, স্বচ্ছ বেতন কাঠামো ও বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই “Tea Mastering” বিষয়ে একটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করবে। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ও মাইক্রো-ক্রেডেনশিয়াল প্রোগ্রাম, শিক্ষার্থীদের চা বাগান ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র পরিদর্শনের সুযোগ এবং ক্যাম্পাসে একটি “Tea Corner” স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক চা সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে, পর্তুগিজ রাজপরিবার ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে “Duke of Braganza Youth Leadership & Service Program – Bangladesh Chapter” শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। “Leadership Through Service” মূল ধারণায় ভিত্তিক এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ, সামাজিক সেবা, টেকসই পর্যটন ও বৈশ্বিক নাগরিকত্বের চেতনা গড়ে তোলা।

প্রোগ্রামটির রয়েল প্যাট্রোনেজ ও সার্টিফিকেশন দেবে পর্তুগালের রাজপরিবার, আর বাংলাদেশে জাতীয় সচিবালয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এর মাধ্যমে দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও নেতৃত্ব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এছাড়া সফরের অংশ হিসেবে উদ্বোধন করা হয় “Duke of Braganza Heritage Culinary Studio”, যা আন্তর্জাতিক রন্ধনশৈলী ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার সংস্কৃতির এক অনন্য সংমিশ্রণ হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ও ডিআইইউ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। তিনি বলেন, “ড্যাফোডিল সবসময় বৈশ্বিক শিক্ষার সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে কাজ করছে। পর্তুগিজ রাজপরিবারের সফর এবং লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগের দুয়ার খুলবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাচেস ইসাবেল ইনেস দে হেরেদিয়া, প্রিন্স আফনসো দে সান্তা মারিয়া, লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের গ্রুপ চেয়ারম্যান স্যার শেখ আলিউর রহমান, , ডিআইইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আর. কবির, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, ট্রেজারার ড. হামিদুল হক খান, ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আর. কবির বলেন, “এই রাজকীয় সফর বাংলাদেশের সঙ্গে পর্তুগালের শিক্ষা ও সংস্কৃতিগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। এই অংশীদারিত্ব গবেষণা, একাডেমিক এক্সচেঞ্জ ও উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”