
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের ২১ সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির। প্যানেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’। শাখা ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
এ প্যানেলে ভিপি পদে রয়েছেন শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, জিএস পদে শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ এবং এজিএস পদে রয়েছেন আপ বাংলাদেশের জবি সংগঠক মাসুদ রানা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্যানেলের এই শীর্ষ তিন পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম।
প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আছেন মো. নূরনবী , শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকে ইব্রাহিম খলিল , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদকে সুখীমন , স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদকে নূর মোহাম্মদ , আইন ও মানবাধিকার সম্পাদকে হাবিব মোহাম্মদ ফারুক , আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকে নওশীন নওয়ার জয়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকে নাহিদ হাসান রাসেল, ক্রীড়া সম্পাদকে জার্জিস আনোয়ার নাইম, পরিবহন সম্পাদকে তাওহিদুল ইসালম , সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদকে মুস্তাফিজুর রহমান , পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদকে মো.সোহাগ আহম্মেদ স্থান পেয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন- শান্তা আক্তার,সালেম হোসেন সিয়াম, ফাতেমা আক্তার অওরীন, আকিব হাসান, হাফেজ কাজী আরিফ, মো. মেহেদী হাসান, আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, জিএস প্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ আইন এবং ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং এজিএস প্রার্থী মাসুদ রানা পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে গত তিন দিনে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩১২ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ নভেম্বর চারজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১৬ নভেম্বরও চলেছে মনোনয়নপত্র বিতরণ, যা ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলে।
১৭ ও ১৮ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিল, ১৯ ও ২০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৪, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে।
এছাড়া ২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে। ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রত্যাহারকৃত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ৯ ডিসেম্বর।
৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনি প্রচারণা করবেন। ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের দিনই ভোট গণনা ও ২২ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা হবে।



























