শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজধানী ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৩৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

৩ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে কড়াইল বস্তি, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিট


korail-fire

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে মঙ্গলবার বিকাল থেকে লাগা ভয়াবহ আগুন প্রায় তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একের পর এক ইউনিট বাড়িয়ে বর্তমানে মোট ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়েই প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকায় পর্যায়ক্রমে ইউনিট সংখ্যা বাড়ানো হতে থাকে। রাত সাড়ে ৬টার দিকে ইউনিট সংখ্যা ১৬টিতে উন্নীত হয় এবং সর্বশেষ রাত ৮টার দিকে আরও তিনটি ইউনিট যোগ করায় মোট ১৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত হয়।

রাত সোয়া ৮টার দিকেও ঘটনাস্থলে বস্তির বহু ঘর দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেছে এবং আগুন ক্রমেই বাড়ছিল। স্থানীয়দের আশঙ্কা, আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

বস্তির বেশির ভাগ বাসিন্দা সাধারণত পোশাককর্মী, রিকশাচালক, হকার বা দিনমজুর। বিকেলে আগুন লাগার সময় তাদের বেশির ভাগই বাড়িতে ছিলেন না।

Korail Fire

বস্তির বাসিন্দারা জানান, আগুনে শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। যে যেভাবে পারছেন ঘরের শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বস্তিতে ঢোকার রাস্তা অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ভেতরে প্রবেশ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া, টিন, বাঁশ ও কাঠের তৈরি ঘরগুলো গায়ে গা লাগিয়ে ওঠানো হয়েছে। এর ফলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা দ্রুত এক ঘর থেকে অন্য ঘরে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। উল্লেখ্য, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীর কোল ঘেঁষে থাকা প্রায় ৯০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এই বস্তিতে প্রায় ১০ হাজার ঘর রয়েছে এবং এখানে প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে, গেল বছরের ২৪ মার্চ ও ১৮ ডিসেম্বরেও এই কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।