৪০০ সিসিটিভির নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার কূটনৈতিক এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে গুলশান, বারিধারা ও নিকেতন এলাকার নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসব ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজও শুরু হয়ে গেছে।
এই সিসিটিভিগুলো সাধারণ সিসিটিভির মত ভিডিও ধারনের পাশাপাশি সন্দেহভাজন কোন ব্যক্তি অথবা যানবাহন দেখলে নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে সংকেত পাঠাবে।
এই ক্যামেরাগুলোর স্পিকার অথবা সাউন্ড বক্স আশপাশের ১১টি চেকপোস্টে বসান থাকবে সেখান থেকে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসাররা এই সংকেত শুনতে পাবেন।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের এক সনিয়র কর্মকর্তা জানান, কেউ এস ক্যামেরাগুলোর শব্দ বন্ধ না করা পর্যন্ত ক্যামেরাগুলো সংকেত দিতেই থাকবে।
তিনি আরও জানান এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ডিজিটাল প্রজেক্ট এবং গত ৭ জানুয়ারি একজন স্থানীয় ব্যবসায়ীর সহায়তায় এর কাজ শুরু করা হয়।
এর জন্য সব মিলিয়ে ৭ কোটি টাকা খরচ হবে এবং এই ধরনের উদ্যোগ গাড়ি চুরি ঠেকাতে বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে তিনি জানান। এই প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে যার প্রথম ধাপ আগামী এপ্রিলে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এর পরপরই বাকি দুটো ধাপ সম্পন্ন হবে।
পুলিশের গুলশান জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির জানান, এই ক্যামেরাগুলো শুধুমাত্র যে অপরাধ সনাক্ত করবে তা নয় পাশাপাশি এই ক্যামেরাগুলো অপরাধ প্রতিরোধেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন এই প্রকল্পটি বর্তমানে দ্রুত গতিতে চলছে, বিশেষ গত ১৩ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার পর এর গুরুত্ব আরও বেশি করে প্রকাশ পায়। গুলশান ২ ও গুলশান শুট্যিং কøাবের কাছে ১২টি ক্যামেরা বসান হয়েছে।
গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুর ইসলাম জানান, ক্যামেরাগুলোর জন্য গুলশান থানায় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে একটি টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন ২ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরাগুলো গাড়ির ড্রাইভারের মুখ দ্রুত সনাক্ত করতে পারবে এবং বাকি ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধীরা খুব দ্রুত ধরা পড়বে।


























