অফিস মিটিং, সেমিনার কিংবা যেকোনো আনুষ্ঠানিক সভা-সমাবেশে পোশাক শুধু ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে না, বরং আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। সঠিক পোশাক অন্যদের কাছে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে এবং উপস্থিতিকে করে মর্যাদাপূর্ণ। তাই আনুষ্ঠানিক পরিবেশে পোশাক বেছে নিতে হবে ভেবেচিন্তে।
পুরুষদের জন্য শার্ট-প্যান্ট সবচেয়ে মানানসই। সাদা, আকাশি, হালকা নীল বা প্যাস্টেল রঙের শার্টের সঙ্গে গাঢ় রঙের ট্রাউজার ভালো যায়। প্রয়োজনে টাই ব্যবহার করা যেতে পারে। শার্ট অবশ্যই আয়রন করা ও পরিচ্ছন্ন হতে হবে। জুতা হিসেবে ফরমাল সু-ই সেরা। অনেক ক্ষেত্রে পাঞ্জাবী-পাজামাও উপযোগী, বিশেষ করে সাদা বা অফ-হোয়াইট রঙ।
নারীরা চাইলে সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি কিংবা অফিস উপযোগী টপস-প্যান্ট বেছে নিতে পারেন। তবে পোশাক যেন খুব বেশি উজ্জ্বল বা চাকচিক্যময় না হয়। হালকা মেকআপ ও সাদামাটা গয়না মানানসই। কর্মক্ষেত্রের অনুষ্ঠানে শাড়ি পরলে সেটি যেন মার্জিত ও আরামদায়ক হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।
সাধারণ পরামর্শ:
১) পোশাক পরিষ্কার ও পরিপাটি হতে হবে।
২) অতিরিক্ত উজ্জ্বল রঙ বা ঝলমলে পোশাক এড়িয়ে চলা ভালো।
৩) আবহাওয়া ও পরিবেশ বিবেচনা করে আরামদায়ক কাপড় বেছে নিতে হবে।
৪) জুতা, বেল্ট বা ব্যাগ যেন পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৫) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও গুছানো লুকই সবচেয়ে বড় পরিচয়।
অফিসের সভা, বড় কোনো সেমিনার বা আনুষ্ঠানিক আলোচনায় পোশাক শুধু বাহ্যিক বিষয় নয়, এটি আপনার ব্যক্তিত্ব, আচরণ ও প্রফেশনাল ইমেজের অংশ। তাই সঠিক পোশাক নির্বাচনই হতে পারে সাফল্যের প্রথম ধাপ।
