শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক লাইফস্টাইল ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

কিশমিশ খাওয়ার ৭টি দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা


kismisশরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত খাবারের তালিকায় অনেকেই ড্রাই ফ্রুটস রাখেন। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় হলো কিশমিশ। মিষ্টি স্বাদের এই শুকনো ফল যেমন সরাসরি খাওয়া যায়, তেমনি পোলাও, পায়েস বা মিষ্টান্নেও এর ব্যবহার প্রচলিত। স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি কিশমিশ শরীরের জন্যও নিয়ে আসে নানারকম উপকারিতা।

জেনে নিন কিশমিশ খাওয়ার সাতটি স্বাস্থ্য উপকারিতা—

১) গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়: কিশমিশে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ, গাউট, আর্থ্রাইটিস, কিডনিতে পাথর ও হৃদরোগ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।

২) রক্তস্বল্পতা দূর করে: আয়রন, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং তামা সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে, ফলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

৩) হজমে সহায়তা করে: ফাইবার সমৃদ্ধ কিশমিশ পানির সংস্পর্শে ফুলে উঠে রেচক প্রভাব ফেলে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

৪) ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী: কিশমিশে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা টিউমার ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫) সংক্রমণ দূর করে: এতে থাকা পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। ফলে জ্বর, ঠাণ্ডা ও অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

৬) ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করে: কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিনকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে বার্ধক্যের লক্ষণ, যেমন বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও দাগ দেরিতে দেখা দেয়।

৭) ওজন বাড়াতে সহায়ক: ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরে শক্তি জোগায়। একই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।