এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে কখনোই জায়গা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়েই আজ (২৯ আগস্ট) ভিয়েতনামের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।
গ্রুপ ‘সি’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভিয়েতনাম, ইয়েমেন ও সিঙ্গাপুর। টুর্নামেন্টে এগারো গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা চার রানার্সআপ আগামী বছর সৌদি আরবে মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
প্রধান কোচ টিটু দলের প্রতি ভরসা রাখছেন এবার। দীর্ঘ প্রস্তুতি, প্রথমবার বিদেশে ক্যাম্প এবং প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তার আশাবাদ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আগে কখনো মূল পর্বে খেলিনি। এবার সেটা সম্ভব মনে হচ্ছে। তবে প্রথম ম্যাচ ভিয়েতনামের বিপক্ষেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রায় এক মাসের অনুশীলনের পর দল বাহরাইনে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও তারা পিছিয়ে পড়েনি। এ ছাড়াও সিনিয়র দলের সাতজন ফুটবলার থাকায় অভিজ্ঞতার বাড়তি সুবিধাও পাচ্ছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
দলের নেতৃত্বে থাকছেন ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন। সাম্প্রতিক বিতর্ক কাটিয়ে মাঠে মনোযোগী তিনি বললেন, “আমরা তিনটি ম্যাচই জিততে চাই। দেশের জন্য সেরাটা দিতে সবাই প্রস্তুত।”
এবার দলে যুক্ত হয়েছেন কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলারও—যুক্তরাষ্ট্র থেকে জায়ান আহমেদ, ইংল্যান্ড থেকে তানিল সালিক ও কিউবা মিচেল এবং ইতালি থেকে ফাহমিদুল ইসলাম। এর মধ্যে জায়ান বাহরাইনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। তবে ক্লাব বদলের কারণে প্রথম ম্যাচে ফাহমিদুলকে পাওয়া যাবে না; তিনি যোগ দেবেন পরবর্তী ম্যাচ থেকে।
প্রস্তুতিতে জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা যুক্ত থাকলেও কোচ টিটু এটিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন। তার মতে, জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়ের জন্যই এটি জরুরি।
সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের সামনে বাস্তব সুযোগ এসেছে ইতিহাস গড়ার। মোরসালিন–জায়ানরা যদি গ্রুপ পর্বে সেরাটা দিতে পারেন, তবে প্রথমবারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল আসরে জায়গা পাওয়া স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই রূপ নিতে পারে।





























