ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার কেলানতান রাজ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮২ জন প্রবাসী স্বেচ্ছায় অভিবাসন দপ্তরে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জন বাংলাদেশের নাগরিক।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজ্য অভিবাসন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ খান জানান, আত্মসমর্পণকারীরা ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ১৫(১)(সি) অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন, যা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা সংক্রান্ত অপরাধ।
তিনি বলেন, “এই প্রবাসীরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন কারণ তারা দেশে ফিরতে চেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে তারা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন।”
অভিবাসন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ২৯ জন, বাংলাদেশের ১৯ জন এবং থাইল্যান্ডের ১৭ জন নাগরিক শীর্ষে রয়েছে। বাকিরা এসেছেন ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, চীন, ফিলিপাইন, সুদান, নাইজেরিয়া, লাওস ও ইরাক থেকে।
এছাড়া রাজ্যের প্রবেশপথে আরও তিনজন—দুইজন কম্বোডিয়ান ও একজন থাই নাগরিক—ইমিগ্রেশন আইন ১৫(১)(সি) ও ৫৫ই ধারার লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হয়েছেন। এসব ধারা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান ও অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কেলানতান রাজ্যে অভিবাসন বিভাগ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে মোট ৪৯৩ জন অননুমোদিত বিদেশি আটক হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, “স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত হয় এবং নিরাপদে দেশে ফেরার প্রক্রিয়াও সহজ হয়।”
অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে বিদেশি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যারা এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় রয়েছেন বা অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেছেন, তারা যেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন।
