
জানাজায় নিহতদের স্বজনদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক গ্রামবাসী অংশ নেন।
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম জেলার আট প্রবাসীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজন সন্দ্বীপ উপজেলার ও একজন রাউজান উপজেলার বাসিন্দা।
শনিবার রাতে রাউজানের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় এবং জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাকি সাতজনের মরদেহ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সন্দ্বীপে আসে। পরে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যান নিজ নিজ গ্রামে এবং দুপুরে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
সন্দ্বীপের সাত প্রবাসীর নামাজে জানাজা সকাল সাড়ে ৯টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় নিহতদের স্বজনদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক গ্রামবাসী অংশ নেন।
এর আগে, শনিবার রাত সোয়া ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে নিহত আট প্রবাসীর মরদেহ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। রাত ৯টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহত আট প্রবাসীর মধ্যে সন্দ্বীপের সাতজন হলেন— আমিন মাঝি (৫০), সাহাবুদ্দিন (২৮), বাবলু (২৮), রকি (২৭), আরজু (২৬), জুয়েল (২৮) ও মোশারফ হোসেন রনি (২৬)। আরেকজন রাউজানের আলাউদ্দিন (ইউসুফের ছেলে) ছিলেন চিকদাইর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা বলেন, “রোববার সকালে পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাতজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।”
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর ওমানের ধুকুম প্রদেশের সিদরা এলাকায় ওই আট প্রবাসীকে বহনকারী গাড়ির সঙ্গে অন্য একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে তারা নিহত হন।




























