
ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কান্দিপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) নামে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে সাদ্দামকে হত্যা করেছেন।
নিহত সাদ্দাম সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ছিলেন। তিনি কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির বাসিন্দা মোস্তফা কামালের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন এবং সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সিকদারের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। এর জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কান্দিপাড়ায় পপুলার প্রেসের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে। ভিডিও ফুটেজে শাকিলকে বন্দুক হাতে গুলি করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কান্দিপাড়ায় আরেকটি মারধরের ঘটনা ঘটে। এর কিছু পরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাদ্দামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহতের বাবা মোস্তফা কামাল জানান, দেলোয়ার হোসেন, পলাশ ও বাবুল মিয়া তাদের বাড়িতে এসে সাদ্দামকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে খালপাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার বুকে গুলির আঘাত এবং গলায় ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন ছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, সাদ্দাম তার ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ঘটনার সময়ও তার সঙ্গেই ছিলেন। শাকিল ও তার সহযোগীরাই পেছন থেকে গুলি চালিয়ে সাদ্দামকে হত্যা করেছে বলে তিনি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দফা গুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে।






























