
ছবি: সংগৃহীত
প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফিরে কমলা চাষ করে দারুণ সফলতার গল্প লিখছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কৃষক ফিরোজ মাতুব্বর। ইউটিউবে কমলা চাষের ভিডিও দেখে শুরু করা তার এই পথচলা এখন অঞ্চলে অনুকরণীয় উদাহরণ। অনাবাদি ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো দার্জিলিং জাতের কমলা থেকে গত চার বছর ধরে তিনি পাচ্ছেন চমৎকার ফলন ও ভালো আয়।
মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের ফিরোজ মাতুব্বর ছয় বছর আগে ১২০টি কমলার চারা রোপণ করেন। সরেজমিনে দেখা যায়—থোকায় থোকায় ঝুলছে বড়, সুস্বাদু কমলা। প্রতিটি গাছে রয়েছে ৩০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত কমলা। প্রথম দেখায় যে কেউই মনে করতে পারেন—এ যেন বিদেশি কোনো বাগান!
ফিরোজ জানান, সৌদি আরবে কাজ করার সময় কমলা চাষের ভিডিও দেখে তার আগ্রহ জন্মে। কুষ্টিয়ার জীবননগরের ওমর ফারুক খানের নার্সারি থেকে ১০ হাজার টাকার চারা সংগ্রহ করে দেশে ফিরে বাগান শুরু করেন। প্রথমদিকে অনেকেই তাকে ‘পাগল’ ভেবে হাসাহাসি করলেও এখন সবাই তার সফলতা দেখে বিস্মিত। গত বছর তিনি ৪ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। এবার ৫–৭ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন, সঙ্গে আরও ৩–৪ লাখ টাকার চারা বিক্রিও হবে বলে জানান।
দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে ফিরোজ কমলা গাছে রেখে দেন। বাগানে ঢুকলেই যে কেউ কমলার স্বাদ নিয়ে পরে ওজন অনুযায়ী কিনে নিতে পারেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ বলেন, এই অঞ্চলে কমলা চাষের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। ফিরোজের বাগান দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। সামান্য জায়গায় এত ফলন হবে—এ ধারণা আগে ছিল না। তরুণ বেকাররা চাইলে এমন বাগান করে নিজেরাই কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারেন।
প্রবাস ফেরত ফিরোজের এই সফলতা এখন এলাকায় আলোচনার বিষয়। তার বাগান ঘুরে যাওয়াই যেন দর্শনার্থীদের নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।




























