রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
শেয়ার

থাইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মুসলিম নারী মন্ত্রী নিয়োগ


sabida

সাবিদা থাইসেত। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চানভিরাকুল তার নতুন মন্ত্রিসভায় বিশিষ্ট মুসলিম নারী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী সাবিদা থাইসেতকে সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

থাইল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম নারীকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া দেশটির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নীতিতে বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তির বার্তা দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শাসন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ বাড়ানোর দিকেও ইঙ্গিত বহন করছে।

প্রধানমন্ত্রী চানভিরাকুলের লক্ষ্য হলো একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মন্ত্রিসভা গঠন করা, যেখানে নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।

সাবিদা থাইসেত যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডের আসাম্পশন ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন। এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য; তার পিতা চাদা থাইসেত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাদেশিক রাজনীতির শীর্ষস্থানীয় নেতা।

সাবিদার নিয়োগ দক্ষিণ থাইল্যান্ডের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় দীর্ঘদিনের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঐতিহ্য ও শিল্পকলার সংরক্ষণসহ নতুন প্রজন্মের সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণের দ্বিমুখী দায়িত্ব নেবে। তার আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা ব্যবহারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বহুমুখিতা, ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটানোর আশা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাবিদার সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নারীদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অংশগ্রহণ আরও প্রসারিত হবে এবং সমাজে নারীর ভূমিকা সম্পর্কে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হবে।

সাবিদার এই পদোন্নতি থাইল্যান্ডের মুসলিম নারী ও মেয়েদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা লিঙ্গ ও ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতাকে হ্রাস করে নতুন সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করছে।