শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন
শেয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘চুসক’ উৎসবে ভিন্ন আঙ্গিকে ইসলামি আয়োজন


korea-chuseok

চুসক উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ‘দাওয়াহ কনফারেন্স ও ইসলামী নাশিদ সন্ধ্যা’

দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসব ‘চুসক’ (যা অনেকটা বাংলাদেশের নবান্ন উৎসবের মতো) এবার উদযাপিত হচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে। কোরিয়ার দীর্ঘ ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রবাসীদের আগ্রহ বাড়ায় এবার গান-বাজনার পরিবর্তে আয়োজন করা হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল দাওয়াহ কনফারেন্স ও ইসলামি নাশিদ সন্ধ্যা’।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানী সিউলের কাছে আনসান শহরের সিরাতুল মুস্তাকিম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশেষ আয়োজন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক আনসান মসজিদ কমিউনিটি।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এই দাওয়াহ কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্বরা অংশ নেবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন জাগ্রত কবি আল্লামা মুহিব খান, যিনি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুফতি মুমতাজুল হক, মুফতি আরিফুল ইসলাম এবং মাওলানা মুহাম্মদ উমায়ের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আনসান মসজিদ কমিটির প্রেসিডেন্ট মাওলানা জাহিদ হুসাইন।

চুসক উপলক্ষে ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটিতে কোরিয়ার বিভিন্ন শহরে দাওয়াহভিত্তিক একাধিক ইসলামি প্রোগ্রামে অংশ নেবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও চিন্তাবিদরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন — শায়খ আহমাদুল্লাহ, ড. মিজানুর রহমান আজহারী, কাজী ইবরাহীম, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক এবং মাওলানা রবিউল হক (কাকরাইল মসজিদ)। তাঁরা ৪ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন।

আনসান মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান কাসেমী বলেন, “চুসক উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে। আগে প্রবাসীরা এই সময় গান-বাজনার আয়োজন করতেন। কিন্তু এখন আলহামদুলিল্লাহ, ইসলামি প্রোগ্রামের প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছর আমরা শুধু আন্তর্জাতিক দাওয়াহ কনফারেন্স করেছিলাম। এবার প্রবাসীদের চাহিদার কারণে ইসলামি নাশিদ সন্ধ্যাও যুক্ত করা হয়েছে।”

সবশেষে তিনি জানান, “আলহামদুলিল্লাহ, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। কোরিয়ার মতো দেশে ইসলামি সংস্কৃতি ও দাওয়াহ কার্যক্রম ইসলামের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।”

প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন উদ্যোগকে আয়োজকরা কোরিয়ার মাটিতে ইসলাম প্রচার ও সংস্কৃতি বিকাশের নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখছেন।