শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক লাইফস্টাইল ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

বিমানে সর্বোচ্চ কয়টি লাগেজ নেওয়া যায়, লাগেজে যা যা নেওয়া যাবে না


luggage

বিমানে সর্বোচ্চ কয়টি লাগেজ নেওয়া যায়

বাস, লঞ্চ কিংবা ট্রেনে ইচ্ছেমতো মালামাল বা লাগেজ নেওয়া গেলেও বিমানে সেই সুযোগ নেই। আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে হ্যান্ড লাগেজ ও বুকিং লাগেজ—দুই ধরনের জন্যই নির্দিষ্ট নিয়ম ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

১) কেবিন বা হ্যান্ড লাগেজ

ক. ওজন ও আকারের সীমা: বিদেশগামী যাত্রীরা সাধারণত সর্বোচ্চ ৭ কেজি ওজনের হ্যান্ড লাগেজ নিতে পারেন। এর আকৃতি ২০ ইঞ্চি লম্বা, ১৫ ইঞ্চি চওড়া ও ১০ ইঞ্চি গভীরতার বেশি হলে উড়োজাহাজে নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত হলে তা বুকিং লাগেজ হিসেবে জমা দিতে হয়।

খ. যা নেওয়া যাবে: হ্যান্ড লাগেজে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, মূল্যবান কাগজপত্র, ওষুধ ইত্যাদি নেওয়া যায়।

গ. যা নেওয়া যাবে না: ছুরি, কাঁচি, সুই, ম্যাচ, লাইটার, ও ১০০ মিলিলিটারের বেশি তরল (লিকুইড) বহন করা নিষিদ্ধ। এছাড়া যেসব জিনিস নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে বা যাত্রী-ক্রুদের অসুবিধা সৃষ্টি করে, তা নেওয়া যাবে না।

ঘ. তরল পদার্থের সীমা: শ্যাম্পু, হেয়ার জেল, লোশন, পারফিউম, ক্রিম, নেইলপলিশ, স্প্রে ইত্যাদি তরল হিসেবে গণ্য হয়। এগুলোর যেকোনোটি ১০০ মিলিলিটারের বেশি পরিমাণে হ্যান্ড লাগেজে নেওয়া যাবে না।

২) বুকিং লাগেজ

ক. ওজন ও আকারের সীমা: ২৭ ইঞ্চি লম্বা, ১১ ইঞ্চি চওড়া, ১৪ ইঞ্চি গভীরতার লাগেজ বুকিং লাগেজ হিসেবে ধরা হয়। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স এক বা দুই পিস লাগেজ বিনা চার্জে নিতে দেয়।

খ. ক্লাস ও ফ্লাইটভেদে সীমা: বিজনেস ক্লাসে: দুটি ব্যাগে ৩০ কেজি করে মোট ৬০ কেজি। ইকোনমি ক্লাসে: দুটি ব্যাগে ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি। দুই বছরের কম বয়সী শিশু: একটি ব্যাগে ১০ কেজি পর্যন্ত এবং স্ট্রলার নেওয়া যায় (শর্তসাপেক্ষে)।

গ. যা রাখা নিষেধ: বুকিং লাগেজে স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ট্যাব, নগদ অর্থ বা অন্য কোনো মূল্যবান জিনিস রাখা নিষিদ্ধ। এসব জিনিস সবসময় হ্যান্ড লাগেজে রাখতে হবে। এছাড়া পাওয়ার ব্যাংক বা লিথিয়াম ব্যাটারি চালিত ডিভাইস বুকিং লাগেজে রাখা যাবে না।

ঘ. দাহ্য পদার্থ: সেভিং ফোম, পারফিউম, জীবাণুনাশক ইত্যাদি ৫০০ মিলিলিটারের বেশি পরিমাণে নেওয়া যাবে না।

পরামর্শ: এয়ারলাইন, গন্তব্য ও ভ্রমণ শ্রেণি অনুযায়ী নিয়ম কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তাই যাত্রার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনের ওয়েবসাইটে গিয়ে লাগেজ সীমা, অনুমোদিত পণ্য ও নিষিদ্ধ সামগ্রীর তালিকা দেখে নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

তথ্যসূত্র: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স