
তামিম-সাইফ ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৫২ রান। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের তানজিদ হাসান তামিম ৮৯ ও সাইফ হাসান ২৩ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।
প্রথম দুই ম্যাচে টসে হেরে আগে ফিল্ডিং করতে হয় বাংলাদেশকে। দুটো ম্যাচেই হেরেছিলো টাইগাররা। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে লিটন দাসরা।
আজ একাদশে ৪ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। বদল আসে উদ্বোধনী জুটিতেও। তানজিদ তামিমের সাথে ব্যাট করতে আসেন পারভেজ ইমন। তবে বড় হয়নি তাদের জুটি, ৩.১ ওভারে ২২ রানে ফেরেন ইমন (৯)।
লিটন দাসকে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন তামিম। দুজনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে আসে ৪০ রান। তবে এই যুগলবন্দীও বড় হয়নি, ২৬ বল থেকে আসে মাত্র ২২ রান। ৭.৩ ওভারে লিটন ফেরেন ৯ বলে ৬ রান করে।
এরপর সাইফ হাসানকে নিয়ে ফিফটি পূরণ করেন তামিম। আগের ম্যাচেও ফিফটি করা এই ব্যাটার আজ ৫০ করেন ৩৬ বলে। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে গড়েন ১ হাজার রানের মাইলফলক।
বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে দ্রুততম এক হাজার রানের মালিক এখন তামিম। মাত্র ৪২ ইনিংসে চার অঙ্কের এই ঘরে পৌঁছান তিনি। আগের দ্রুততম ছিল তাওহিদ হৃদয়ের, ৪৫ ইনিংসে এক হাজার রান করেছিলেন হৃদয়।
তামিম-সাইফ জুটিতে ১৪.১ ওভারে তিন অঙ্কে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে এরপরই ফেরেন সাইফ, ২২ বলে ২৩ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। এরপর খেই হারায় দল, দ্রুত হারায় আরো ৪ উইকেট।
রিশাদ হোসেন ১, নুরুল হাসান ৩, নাসুম আহমেদ ১ ও জাকের আলি আউট হন ৫ রান করে। তবে একপ্রান্ত ধরে রেখে রানের গতি ঠিক রাখেন তামিম। ছিলেন সেঞ্চুরিরর পথেই। তবে আশা পূর্ণ হয়নি।
তামিমের ৯ চার ৪ ছক্কার ইনিংস শেষ ওভারে এসে শেষ হয় ৬২ বলে ৮৯ রান করে। ১৯.১ ওভারে ১৪২ রানে ৮ উইকেট হারায় দল। পরের বলেই ফেরেন শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে তাসকিনের ৪ বলে ৯ রানে দেড় শ’ পেরোয় বাংলাদেশ।
২ উইকেটে ১৪.৩ ওভারে ১০৭ রান করা বাংলাদেশের শেষ ৩৩ বলে আসে ৪৪ রান, হারায় ৮ উইকেট! যেখানে ২৪ রানই তামিমের। বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করেন রোমারিও শেফার্ড—নেন ৩ উইকেট, করেন হ্যাটট্রিকও। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন খ্যারি পিয়েরে ও জেসন হোল্ডার, দুজনই নেন ২টি করে উইকেট।




























