নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় এক মন্দিরে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে একাদশী উপলক্ষে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে বিপুলসংখ্যক ভক্ত জড়ো হলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, শত শত নারী পূজার ঝুড়ি হাতে সিঁড়ি বেয়ে মন্দিরে উঠছিলেন। হঠাৎই ভিড়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, একে অপরের ওপর পড়ে যান অনেকে। মুহূর্তেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। ঘটনাস্থলেই বহু মানুষ মারা যান, অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মন্দির প্রাঙ্গণজুড়ে আহত ও মৃতদের দেহ পড়ে আছে, চারপাশে কান্নার রোল।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মন্দির কর্তৃপক্ষ বড় ভিড়ের বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করেনি। এমনকি তখনও মন্দিরে নির্মাণকাজ চলছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নারা চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পাওয়ান কল্যাণ জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নাইডু এক বিবৃতিতে বলেন, “এই মৃত্যুগুলো হৃদয়বিদারক। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহতদের প্রতি পরিবারে দুই লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার গভীর সহানুভূতি রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
এ ঘটনায় পুরো শ্রীকাকুলাম জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চলছে আহতদের চিকিৎসা ও স্বজনদের ভিড়।
