রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৫ নভেম্বর ২০২৫, ১:০৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

সাবেক মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ডিক চেনি মারা গেছেন


Dick Cheney

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ডিক চেনি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি ডিক চেনি মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ৮৪ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

পরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ এবং রক্তনালীর জটিলতায় তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন স্ত্রী লিন চেনি, দুই কন্যা লিজ ও মেরি, এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা।

প্রায় চার দশক ধরে ওয়াশিংটনে রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয় ছিলেন চেনি। তিনি প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সময় সবচেয়ে কম বয়সে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ওয়াইওমিং অঙ্গরাজ্য থেকে মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।

এরপর তিনি প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ প্রশাসনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ. বুশ জুনিয়রের সময়ে দুই মেয়াদে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চেনি টেক্সাসভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি হ্যালিবার্টনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবেও কাজ করেন।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার সময় প্রেসিডেন্ট বুশ ওয়াশিংটনের বাইরে থাকায় প্রথম মুহূর্তে দায়িত্ব নেন চেনি। সেই রাতে হোয়াইট হাউসের ভূগর্ভস্থ জরুরি অপারেশন সেন্টারে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

ইরাক যুদ্ধের কৌশলগত পরিকল্পনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন চেনি। ২০০৫ সালে দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের গবেষক জন হালসম্যান বলেন, “মার্কিন ইতিহাসে কোনো উপ-রাষ্ট্রপতির এত প্রভাবশালী ভূমিকা আগে দেখা যায়নি।”

চেনি নিজেকে বরাবরই প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে দেখতেন। ২০০৮ সালে এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি কোনো বিভাগ বা নীতিনির্ধারণী দায়িত্বে নেই। তাই প্রতিনিয়ত মন্তব্য করলে অন্যদের কাজে হস্তক্ষেপ হয়। আমার ভূমিকা হলো প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেওয়া।”

রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পরও চেনি সক্রিয় ছিলেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের সময় তিনি জাতীয় নিরাপত্তা নীতির কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত হন।

মার্কিন রাজনীতির এক প্রভাবশালী ও বিতর্কিত অধ্যায় শেষ হলো ডিক চেনির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।