রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৫৮ অপরাহ্ন
শেয়ার

ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা ৫২, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত


Philippines

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘কালমেগি’র তাণ্ডবে অন্তত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ১৩ জন। ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ঘূর্ণিঝড়টি সর্বশেষ পশ্চিমাঞ্চলীয় পালাওয়ান প্রদেশের লিনাপাকান উপকূলের কাছাকাছি সমুদ্র এলাকায় দেখা গেছে। আবহাওয়া দপ্তর এর সর্বশেষ বার্তা অনুযায়ী আজকের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে সরে যাবে।

স্থানীয়ভাবে ‘টিনো’ নামে পরিচিত এই ঝড় মধ্য ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ চেবুতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে একাধিক শহর ও গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহতদের অধিকাংশই পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন।
উদ্ধারকর্মীদের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেকে নিজেদের বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন, প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি, ঘরবাড়ি এমনকি শিপিং কনটেইনার । চেবু দ্বীপের গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান,’এমন পরিস্থিতি সেবুতে আগে কখনো দেখা যায়নি। আমরা ভেবেছিলাম ঝড়ের বাতাসই হবে মূল বিপদ, কিন্তু পানির তাণ্ডবই এখন সবচেয়ে বড় হুমকি’। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রদেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি।

অন্যদিকে, উদ্ধার কাজে অংশ নিতে গিয়ে মিন্দানাও দ্বীপের আগুসান দেল সুর এলাকায় ফিলিপাইন বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ছয় ক্রু সদস্যের সবাই নিহত হয়েছেন বলে বিমানবাহিনীর মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।

ঘূর্ণিঝড় কালমেগি মঙ্গলবার সকালে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আঘাত হানে। বর্তমানে এর গতি কিছুটা কমলেও ভিসায়াস অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে ঝড়টি দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হয়ে ভিয়েতনামের উপকূলে পৌঁছাবে। ইতিমধ্যেই দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।