
সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নাম যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগে জাতিসংঘও তাঁর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শারার বৈঠকের ঠিক আগ মুহূর্তেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে দুই দেশের শীর্ষ নেতার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এটিই হবে ওয়াশিংটনে কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সফর। খবর আল–জাজিরার।
আহমেদ আল-শারা ছিলেন সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)–এর নেতা। নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত এই সংগঠন একসময় আল–কায়েদার সহযোগী শাখা ছিল। ২০১৬ সালে আল–কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এইচটিএস।
২০১৪ সালের মে মাস থেকে এইচটিএস জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল। যুক্তরাষ্ট্রও সংগঠন ও শারাকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
তবে গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়। এরপর ধাপে ধাপে উঠতে থাকে রাজনৈতিক বরফ।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়; চীন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। একই দিনে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শারার নেতৃত্বে বিদ্রোহী বাহিনী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপরই শারা ক্ষমতার মসনদে বসেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করেন।





























