
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে দেশব্যাপী নীরবতা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কঠিনতম এই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা যেন কোনো শব্দ বিভ্রান্তির সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আধঘণ্টার জন্য সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
দেশটির পুলিশ নিশ্চিত করেছে, পরীক্ষার্থীরা সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবে এবং পরীক্ষা চলাকালীন কোনো ধরনের শব্দ বিভ্রান্তি হবে না। এ জন্য দুপুর ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ইনচনসহ সব বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়সূচি বদলের কারণে ১৪০টি ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে, যার মধ্যে ৬৫টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও রয়েছে। অনেক বিমান এসময় বিমানবন্দরের কাছাকাছি আকাশে চক্কর দিচ্ছিল, কারণ পরিবহন মন্ত্রণালয় তাদের ৩,০০০ মিটারের নিচে নামতে দেয়নি।
শেয়ারবাজার ও অফিসগুলোও পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য সাধারণ সময়ের এক ঘণ্টা দেরিতে খোলা হয়। এই ভর্তি পরীক্ষা দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই দেশের সমস্ত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয় যাতে পরীক্ষার পরিবেশ নিখুঁত থাকে।
এ বছর মোট ৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই ২০০৭ সালে জন্ম, সেই বছর জন্মহার বিশেষভাবে বেশি হয়েছিল।
পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ইয়েসিওন কিম নামের এক নারী। যার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। তিনি বলেন, এই পরীক্ষা প্রায় ২০ বছরের চেষ্টার পর এসেছে। একই সাথে এটি একটি নতুন শুরু।





























