
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার সিলাচাপে ভারি বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, এখনও কমপক্ষে ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
বৃহস্পতিবারের এই ভূমিধসে প্রায় এক ডজন বাড়ি মাটিচাপা পড়ে। সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া অনেক মানুষের ওপর ৮ মিটার (প্রায় ২৫ ফুট) পর্যন্ত মাটি চাপা পড়েছিল। গতকাল তিনজনের এবং আজ আরও আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বর্ষাকাল চলে, এ সময় ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। চলতি বছরের শুরুতে সেন্ট্রাল জাভার পেকালংগানে আরেক ভয়াবহ ভূমিধসে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে—কাদা, পাথর ও ধ্বংসাবশেষ সেরাসান দ্বীপের পাহাড়ধারের বাড়িগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দিয়েছে। রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট নেই, ফলে উদ্ধারকাজ আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ব৫ন উজাড় ভূমিধস বাড়ার অন্যতম কারণ। ইতোমধ্যেই বোর্নিওর বানজার জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় হাজারো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।





























