রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক ফিচার ১৭ অগাস্ট ২০১৪, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

অর্থ সংগ্রহের অদ্ভুত উপায়


বরফ ঠাণ্ডা এক বালতি পানি গায়ে ঢালো, নয়তো দান করে যাও ১০০ ডলার! এএলএস চ্যালেঞ্জ নামে চ্যারিটি সংগঠন এএলএস অ্যাসোসিয়েশন ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে এভাবেই তহবিল সংগ্রহ করে আসছে কয়েক বছর ধরে।

সম্প্রতি ফেসবুক সিইও মার্কস জাকারবার্গ নিজের চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করে পাল্টা আহ্বান জানিয়েছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে। মার্কের ছুড়ে দেয়া ওই আইস বাকেট চ্যালেঞ্জকে হাসিমুখে স্বাগত জানিয়েছিলেন বিল গেটস। এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিল নিজের চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করার পর, আবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সাউথ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বিজনেস ম্যাগনেট ইলন মাস্ক, আমেরিকান রেডিও সেলিব্রিটি রাইয়ান সিক্রেস্ট ও টেড কিউরেটর ক্রিস অ্যান্ডারসনকে।

শুধু করপোরেট সেলিব্রিটি নয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা টিভি তারকা, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেকেই অংশ নেন ফান্ড রাইজিং গেম আইস বাকেট চ্যালেঞ্জে।

downloadতারকা ব্যক্তিরা সাধারণত ফেসবুক কিংবা টুইটারে একে অন্যকে এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করতে হয়, নয়তো গুনতে হবে ১০০ ডলার। তবে মজার ব্যাপার হলো, তারকারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার পাশাপাশি এ চ্যারিটি তহবিলে অর্থ দিয়ে থাকেন। আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ নামে খুঁজলে কেবল ফেসবুকেই ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ভিডিও পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়।

সোস্যাল মিডিয়ার উত্থানের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের চ্যারিটি এবং এ-জাতীয় সংগঠন দিনের পর দিন সময় ব্যয় করেছে কীভাবে তারকা ব্যক্তিদের টুইট কিংবা ফেসবুক পোস্ট ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মাঝে এ বিষয়গুলো জনপ্রিয় করে তোলে যায়। এ কাজেরই একটি সফল প্রয়াশ আইস ব্যাকেট চ্যালেঞ্জ।

প্রসঙ্গত, বিশেষ একধরনের স্নায়ুরোগ নামে পরিচিত নিউরোডিজেনারেটিভ নার্ভ ডিজিস। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ক্রমশ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা হারাতে থাকেন। একসময় আক্রান্ত ব্যক্তি তার শরীর নড়াচড়ার ক্ষমতাও হারান। এএলএস অ্যাসোসিয়েশনের জমাকৃত অর্থ ব্যয় হয় এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার জন্য। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এ বাবদ সংগঠনটি তুলে নিয়েছে ১ দশমিক ৩৫ ডলার। বণিকবার্তা।