ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ডে স্ত্রী কুলসুমা আক্তারকে (২৭) নৃশংসভাবে হত্যা করার দায়ে বাংলাদেশি যুবক হাবিবুর মাসুমকে (২৭) ২৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, গত বছরের ৬ এপ্রিল মাসুম তার স্ত্রীকে শহরের কেন্দ্রে কমপক্ষে ২৬ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। ঘটনার সময় তাদের সাত মাস বয়সী শিশু সন্তানটি পাশেই একটি প্র্যামে বসা ছিল।
গত মাসে মাসুমকে ব্র্যাডফোর্ড ক্রাউন আদালত বিচারের পর হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। একই আদালত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) তাকে অভিযুক্ত করে রায় দেন। খবর বিবিসির।
ব্র্যাডফোর্ড ক্রাউন কোর্টে মামলার শুনানিতে উঠে আসে, পরিকল্পনা করেই স্ত্রীকে হত্যার জন্য ব্র্যাডফোর্ডে ফিরে আসেন মাসুম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেন যে, তিনি স্পেনে অবস্থান করছেন। অথচ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন, স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছেন এবং ভয় দেখিয়ে যাচ্ছেন।
হত্যার দিন কুলসুমা তার বান্ধবীর সঙ্গে শিশুকে নিয়ে হাঁটছিলেন। সেই সময় মাসুম পথরোধ করেন। সিসিটিভিতে দেখা যায়, তিনি কুলসুমাকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। রাজি না হওয়ায় হঠাৎ পকেট থেকে ছুরি বের করে উপর্যুপরি আঘাত করেন। শুধু তাই নয়, মাটিতে ফেলে লাথিও মারেন ও গলা কেটে দেন।
আদালতে মাসুম হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যানস্লটার বা অনিচ্ছাকৃত হত্যার কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু বিচারক তাকে স্ত্রী হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন। সেইসঙ্গে তাকে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়– আক্রমণ, হত্যার হুমকি এবং স্ত্রীকে অনুসরণ করার অভিযোগ। মাসুম জনসমক্ষে ছুরি রাখার অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, মাসুম ‘নিষ্ঠুর ও নির্দয়ভাবে’ আক্রামণ করে কুলসুমা হত্যা করেছেন।
ঘটনাটি ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি অবস্থানের এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।





























