দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া দুই বাংলাদেশি সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেলকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের আমন্ত্রণে দুই সাঁতারু লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আসেন। সেখানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর বলেন, “বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনার লক্ষ্যে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া ছিল আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। বহু বছর ধরে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।” তিনি জানান, চরম ঠান্ডার কারণে শরীর অনেকটা অসাড় হয়ে গিয়েছিল, তবে সব বাধা অতিক্রম করে তিনি ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে চ্যানেল পার হতে সক্ষম হন।
অপর সাঁতারু নাজমুল হক হিমেল বলেন, “ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার অভিজ্ঞতা ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমি থেমে যাইনি। বহু বছর ধরে নিজেকে প্রস্তুত করেছি এই চ্যালেঞ্জের জন্য।”
হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর দুই বাংলাদেশি সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যেভাবে ইতিহাস গড়েছেন, তাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গর্বিত। তারা দেশের তরুণদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আশা করি, ভবিষ্যতেও তারা বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবেন।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায় (ইংল্যান্ড সময় মধ্যরাত আড়াইটা) ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে নামেন দুই সাঁতারু সাগর ও হিমেল।
প্রসংগত, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করেছে আটলান্টিক মহাসাগরের ইংলিশ চ্যানেল। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ অবস্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার। বিখ্যাত এই চ্যানেল অতিক্রম করা প্রথম এশীয় ও বাঙালি ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন আবদুল মালেক। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ১৯৮৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি মোশাররফ হোসেন।





























