রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক দেশজুড়ে ২৬ জুলাই ২০২৫, ৮:০৬ অপরাহ্ন
শেয়ার

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: আরো এক মামলা, আসামির সংখ্যা ছাড়ালো ১০ হাজার


তদন্ত কমিশন গঠনগোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১টিতে।

সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করেন কাশিয়ানীর রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাসির উদ্দীন। তিনি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কাশিয়ানী থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৬ জুলাই ফুকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সড়ক অবরোধ করে, টায়ার জ্বালিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় এবং মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে মিছিল করে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এনসিপির কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব কর্মকাণ্ডে জড়ায়।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় দায়ের হওয়া ১১টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬৮৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জনকে। ফলে মোট আসামির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার।

এদিকে, সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় ১৬ জুলাই থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও একজনকে।

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচি শেষে মাদারীপুর ফেরার পথে তাদের গাড়িবহরে হামলার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলার বিভিন্ন অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এবং পরে রাতে জারি হয় কারফিউ। একাধিকবার মেয়াদ বাড়িয়ে গত ২০ জুলাই রাতে কারফিউ আংশিক শিথিল করা হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ইতোমধ্যে সরকারের দুই উপদেষ্টা গোপালগঞ্জে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।