স্বাদে অতুলনীয় ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল আনারস শুধু রসাল ও উপাদেয়ই নয়, শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারীও। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত আনারস রাখলে নানা ধরনের শারীরিক উপকার মেলে। তবে এর সঙ্গে কিছু সতর্কতাও আছে, যা জেনে রাখা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই আনারসের উপকারিতা ও সতর্কতার দিকগুলো।
আনারসের স্বাস্থ্যগুণ:
১) ওজন কমায়: আনারসে প্রচুর ফাইবার ও কম ফ্যাট থাকে, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সকালের ফল হিসেবে বা সালাদে আনারস রাখা উপকারী।
২) হজমশক্তি বাড়ায়: আনারসে থাকা এনজাইম ‘ব্রোমেলিন’ হজমে সহায়তা করে এবং পেটের গ্যাস ও অস্বস্তি কমায়।
৩) হাড়ের সুস্থতায়: আনারসে আছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ, যা হাড়কে মজবুত করে এবং হাড়ের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে কী হয়!
৪) পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস ভিটামিন A, C, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের ভালো উৎস। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খেলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়।
৫) চোখের যত্নে: আনারসে থাকা বেটা ক্যারোটিন চোখের রেটিনার সুরক্ষা দেয় এবং ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ।
৬) দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা: আনারস দাঁতের জীবাণু প্রতিরোধে সহায়ক। এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে।
সতর্কতা:
১) আনারস খালি পেটে খাওয়া এড়ানো উচিত।
২) অতিরিক্ত খাওয়া পেটের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
৩) ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন।
আনারস একটি স্বাস্থ্যকর ও উপকারী ফল, তবে পরিমিত মাত্রায় ও সঠিক সময়ে খাওয়াই সর্বোত্তম। সতর্কতা মেনে চললে এটি হতে পারে আপনার দৈনন্দিন পুষ্টির চমৎকার একটি উৎস।




























