
চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা।
চট্টগ্রামে প্রবাসীর মালামাল লুটের ঘটনায় সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল। এই চক্রটি বিদেশফেরত প্রবাসীদের যাত্রা ও মালামালের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করে গাড়ি আটকে ডাকাতি করত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া।
পুলিশ জানায়, ২১ জুলাই ভোরে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন প্রবাসী মোহাম্মদ সামসু উদ্দিন। অলংকারগামী পথে হালিশহরের ডগিরখাল ব্রিজ এলাকায় মাইক্রোবাসে থাকা ডাকাতরা সিএনজি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে তার লাগেজ, হাতব্যাগে থাকা প্রায় ৯৩ গ্রাম স্বর্ণালংকার, তিনটি স্যামসাং মোবাইল, নগদ টাকা, দিরহাম, ডেবিট কার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
প্রযুক্তির সহায়তায় মাইক্রোবাসটি শনাক্ত করে জব্দ করা হয়েছে এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির উদ্দিন, সৈয়দ মজিবুল হক, আলীম হাওলাদার জাবেদ, হাসান, রুবেল, ইমরান মাহমুদুল ওরফে ইমন এবং সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক রয়েছেন চালক সাদ্দাম হোসেন ও রাসেল।
তদন্তে জানা গেছে, তথ্য সরবরাহকারী মজিবুল হক দুবাইয়ে অবস্থানরত ফয়সাল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে বিদেশফেরত যাত্রীদের ছবি ও মালামালের তথ্য পেতেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের সদস্যরা বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীদের অনুসরণ করে ডাকাতি করত।
গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, লুণ্ঠিত স্বর্ণ চান্দগাঁওয়ের একটি দোকানে বিক্রি করেছে তারা। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৫ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার ও দুটি মোবাইল। এখনো কিছু মালামাল পলাতক আসামিদের কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার তিন আসামি সৈয়দ মজিবুল হক, মো. হাসান ও মো. রুবেলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং দ্রুত বিচার আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।




























