বলিউডে ১৯৯৫ সালের রোমান্টিক ড্রামা ‘বারসাত’ দিয়ে একসঙ্গে অভিষেক হয় ধর্মেন্দ্র-প্রকাশ কৌরের ছেলে ববি দেওল ও রাজেশ খান্না-ডিম্পল কাপাড়িয়ার মেয়ে টুইঙ্কল খান্নার। ছবিটি মূলত পরিচালনা করার কথা ছিল শেখর কপূরের, কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাকে বদলে দায়িত্ব পান রাজকুমার সন্তোষী।
সম্প্রতি ‘মাসুম’ খ্যাত পরিচালক শেখর কপূর এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি নিজে ছবিটি ছেড়ে যাননি, বরং তাঁকে ‘ছিটকে’ দেওয়া হয়েছিল। ফিল্মফেয়ার-কে তিনি বলেন, “আমি কখনো নিজে হেঁটে বেরিয়ে যাইনি, আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ‘বারসাত’ তখনও আইডিয়া পর্যায়ে ছিল, কিন্তু আমি বোধহয় ধর্মজির (ধর্মেন্দ্র) ভাবনা বুঝতে পারছিলাম না। সানি দেওল তখন লন্ডনে ছিলেন, আর তিনি রাজকুমার সন্তোষীকে ফোন করেন। আমি রাজজির সঙ্গে কথা বলি, উনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সামলে নেব।’ এরপরের দিনই জানতে পারলাম উনিই ছবিটি পরিচালনা করছেন। মানুষ বলে আমি ছবিটি ছেড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু সত্যি বলতে আমি ছাড়িনি। পরে আমি সঙ্গে সঙ্গেই ‘ব্যান্ডিট কুইন’ বানাই।”

২০২৩ সালের জাগরণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ববি দেওলকেও একই প্রশ্ন করা হয়। অ্যানিমাল অভিনেতা তখন জানান, “শেখর কপূরের সঙ্গেই আমরা শুটিং শুরু করি এবং ২৭ দিন শুট করি। এরপর তিনি ‘ব্যান্ডিট কুইন’ করার প্রস্তাব পান এবং বলেন, ‘আমি এটা করে ফিরে এসে বারসাত করব।’ কিন্তু বাবা বললেন, ছবিটি দেরি করাতে চান না। তিনি শেখরকে বলেন, ‘তুমি তোমার ছবি করো, আমি অন্য কাউকে নেব।’ আমার মনে হয় রাজকুমার সন্তোষী তখনই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন, আর আমি ভাগ্যবান যে উনিই আমার ছবি পরিচালনা করেছেন।”
১৯৯৫ সালে মুক্তির পর ‘বারসাত’ বিশাল ব্যবসা করে। মাত্র ৬ কোটি রুপিতে নির্মিত ছবিটি আয় করে ৩৫ কোটি রুপি। ছবিটির সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল নদীম-শ্রাবণের সুরে ও সমীরের কথায় তৈরি অবিস্মরণীয় গানগুলো। বিশেষ করে হমকো সিরফ তুমসে প্যায়ার হ্যায়, লাভ তুঝে লাভ ম্যায় করতা হুঁ ও নহিঁ ইয়ে হো নহিঁ সকতা তৎকালীন চার্টে শীর্ষে উঠে আসে।





















