রান্নার স্বাদ আর ঘ্রাণের প্রধান উৎস হলো মসলা। তবে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে এগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, ছত্রাক ধরে যায় বা গন্ধ বদলে যায়। সময় বাঁচাতে আগেভাগে কেটে বা বেটে রাখা মসলাও অনেকদিন ভালো রাখা সম্ভব, যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়।
মসলা সংরক্ষণের ১০টি কার্যকর টিপস:
১) কাটা পেঁয়াজ: খোলা অবস্থায় রাখবেন না, এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এয়ারটাইট কাচ/প্লাস্টিকের পাত্রে রাখুন। ৩–৪ দিনের মধ্যে ব্যবহার করে ফেলুন।
২) পেঁয়াজ বাটা: কাচের পাত্রে রেখে উপরে সামান্য তেল ছড়িয়ে দিন। ফ্রিজে সর্বোচ্চ ৫–৭ দিন রাখা যাবে।
৩) আদা-রসুন বাটা: পরিষ্কার কাচের পাত্র ব্যবহার করুন। উপরে সামান্য তেল ছিটিয়ে রাখুন। ফ্রিজে ৭ দিন, ফ্রিজারে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।
৪) শুকনা মরিচ/মরিচ গুঁড়া: আর্দ্রতা এড়াতে কাচের বোতলে রাখুন। চামচ শুকনো না হলে ছত্রাক ধরবে।
৫) হলুদ গুঁড়া: আর্দ্রতা থেকে বাঁচাতে টাইট ঢাকনাযুক্ত কাচের বোতল ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখলে দীর্ঘদিন টাটকা থাকে।
৬) জিরা-ধনে গুঁড়া: বাজার থেকে কেনা গুঁড়া মসলার বদলে গোটা জিরা বা ধনে কিনে ঘরে গুঁড়া করুন। ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও ঘ্রাণ দীর্ঘদিন অটুট থাকে।
৭) গোটা গরম মসলা (দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ইত্যাদি): গোটা অবস্থায় অনেকদিন ভালো থাকে। এয়ারটাইট কন্টেইনারে রাখলে ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
৮) শুকনা আদা বা শুকনা রসুন: ছোট ছোট টুকরো করে শুকিয়ে ফ্রিজে রাখুন। স্যুপ বা তরকারিতে ব্যবহার করা যায়।
৯) শুকনা লবণ-মিশ্রিত বাটা মসলা: লবণ মসলা দ্রুত নষ্ট হতে দেয় না। বাটা মসলায় অল্প লবণ মিশিয়ে রাখলে সংরক্ষণ সহজ হয়।
১০) সংরক্ষণ পাত্র পরিষ্কার রাখুন: সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করুন। ভেজা হাত বা চামচ দিলে মসলায় দ্রুত ফাঙ্গাস ধরে।
রান্নাঘরের মসলা টাটকা থাকলে শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ে না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও তা নিরাপদ হয়। তাই মসলা ফ্রিজে রাখার সময় অবশ্যই এই টিপসগুলো মেনে চলুন।




























