রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক দেশজুড়ে ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

এমন পরিণতি যেন আর কারও না হয়: বিভুরঞ্জনকে নিয়ে ছোট ভাই


Brother-Bivuranjon
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার। শুক্রবার রাতে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করার পর তিনি বলেন, “এমন পরিণতি যেন আর কোনো মানুষের জীবনে না আসে।”

চিররঞ্জন সরকার জানান, পরিবারের কারও সঙ্গে বিভুরঞ্জনের কোনো মনোমালিন্য ছিল না। তবে কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল কি না, সেটিও তাঁদের অজানা। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এটি আত্মহত্যা, খুন, না কি পরিকল্পিত কিছু, আমরা জানি না। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও চাই না। শুধু বলব, আমরা জানি না কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।”

৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দৈনিক আজকের পত্রিকা অফিসের উদ্দেশে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। তবে কর্মস্থলে পৌঁছাননি। ফোনটিও বাসায় ফেলে গিয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যার পরও না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সেদিন রাতেই রমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্বজনরা।

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয়রা মেঘনায় ভাসমান মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। নৌ পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রমনা থানায় ছবি পাঠালে স্বজনরা তা দেখে মুন্সীগঞ্জে ছুটে যান এবং রাত পৌনে নয়টার দিকে মরদেহ শনাক্ত করেন।

কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সালেহ আহমেদ পাঠান জানান, “লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি উপুড় হয়ে ভেসে ছিলেন। গলায় থাকা চশমাটিও অক্ষত ছিল।”

রমনা থানার তদন্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে তার গতিপথ জানা যেতে পারে।”

ছেলে ঋতু সরকার জানান, তার বাবা প্রতিদিনের মতো সেদিনও বলেছিলেন বিকেল ৫টার মধ্যেই ফিরবেন। কিন্তু তার পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া বিভুরঞ্জন সরকার ষাটের দশকের শেষদিকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে দৈনিক মাতৃভূমি, সাপ্তাহিক চলতিপত্র, মৃদুভাষণ–সহ একাধিক গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘তারিখ ইব্রাহিম’ ছদ্মনামে তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।