খাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নিহতদের মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে এখনো তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে স্থানীয়রা অবরোধ কর্মসূচি পালন করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপিডিএফের প্রত্যক্ষ উসকানিতে এই অবরোধ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ গণমাধ্যমকে নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহতদের পরিচয় পুলিশ কিংবা স্থানীয় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
সকাল ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় অবরোধ সরাতে গেলে হামলার মুখে পড়ে। প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পরে প্রায় ২০০-৩০০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে সেনাদের ওপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর গুইমারা জনের টুআইসিসহ ১২ জন সদস্য আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাইকিং ও লাঠিচার্জ করে। তবে উশৃঙ্খল জনতা ছত্রভঙ্গ না হওয়ায় সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বাঙালি ও পাহাড়ি উভয় পক্ষের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
