নিহত ইয়ামিন হোসাইন
কুমিল্লার দেবীদ্বারে পুকুরে গোসল করতে নেমে ইয়ামিন হোসাইন (৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংটিয়ারা গ্রামের একটি মাদরাসার পুকুরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়ামিন সৌদি প্রবাসী হেলাল উদ্দিন পাঠানের একমাত্র ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকা এই বাবার জীবনের একমাত্র ভরসা ছিল ছোট্ট ইয়ামিন। ছেলেকে হারানোর খবর শুনে শোকে ভেঙে পড়েন তিনি। ছেলের জানাজায় অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। আজ এশার নামাজের পর জানাজা শেষে ইয়ামিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে ইয়ামিন মাদরাসার পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর বিকেল চারটার দিকে পুকুরে জাল ফেলে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে মাধাইয়া বাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইয়ামিনের মামা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের একমাত্র ভাগিনার মৃত্যুতে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে। আমার ভগ্নিপতিও (ইয়ামিনের বাবা) ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে দেশে ফিরেছেন।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, পানিতে ডুবে কেউ মারা গেছে এমন তথ্য এখনো পাইনি। সংবাদ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেবীদ্বারের গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দূর প্রবাসে রোজগারের লড়াই করা এক বাবার স্বপ্ন মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ছেলের অকালমৃত্যুতে।
