
বাংলাদেশি নারীর বিরুদ্ধে প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ
মালয়েশিয়ার জোহরের সেশনস আদালতে ৩৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে তার প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্ত বেগম মাসুমাকে বিচারক দাতুক আহমদ কামাল আরিফিন ইসমাইলের আদালতে তোলা হলে দোভাষীর মাধ্যমে অভিযোগ পাঠ করা হয়। তিনি দোষ স্বীকার করলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি, কারণ অভিযোগ বুঝতে তার অসুবিধা হচ্ছিল এবং স্বীকারোক্তি ছিল শর্তসাপেক্ষ।
অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৮ অক্টোবর ভোর ১টার দিকে গিলাং পাতার একটি কারখানার পেছনে বস্তি এলাকার একটি বাড়িতে ৩৩ বছর বয়সী বাবু মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে ছুরি দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যবহৃত ২৯ সেন্টিমিটার দীর্ঘ ছুরিটি পুলিশ জব্দ করেছে।
অভিযুক্ত মাসুমা স্থানীয় একটি কারখানায় প্রোডাকশন অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ধারা ৩২৬ এর অধীনে “বিপজ্জনক অস্ত্র বা উপায়ে স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত” করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং/অথবা জরিমানা হতে পারে।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর জুহাইনি জুল কাফলি জানান, অপরাধটি জামিন-অযোগ্য এবং অভিযুক্তের কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি নেই। তাই প্রসিকিউশন জামিনের সুপারিশ করবে না। আদালতও জামিন মঞ্জুর করেনি এবং একজন বাংলাদেশি দোভাষীর সহায়তায় ১১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
এদিকে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৬(১)(সি) লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে। এতে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা, পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
ম্যাজিস্ট্রেট আতিফাহ হাজিমাহ ওয়াহাবও অভিযুক্তের দোষ স্বীকারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন, কারণ তিনি অভিযোগের বিষয়বস্তু পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নূর ফাতিহা মোহাম্মদ নিজাম, তবে অভিযুক্তের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
৯ অক্টোবর মালয় মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈর্ষাজনিত কারণে ওই বাংলাদেশি নারী তার প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন। আহত বাবু মন্ডলকে সুলতানাহ আমিনাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।





























