রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ৮ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে একচেটিয়া ব্যবসার শঙ্কা


malaysia-worker

মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে নতুন নিয়মের সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী চার্লস সান্তিয়াগো।

মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে নতুন করে জারি করা ১০টি কঠোর শর্তের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী চার্লস সান্তিয়াগো।

গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) স্থানীয় এক অনলাইন নিউজ পোর্টালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারের নতুন নীতিতে যেমন অন্তত ১০ হাজার বর্গফুট আয়তনের স্থায়ী অফিস ও কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত রাখা হয়েছে, তা ছোট ও সৎ এজেন্সিগুলোর জন্য কার্যত অগ্রহণযোগ্য।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই শর্তগুলো এমনভাবে তৈরি যে কেবল বড় খেলোয়াড়রাই এগুলো পূরণ করতে পারবে। এতে পুরনো প্রভাবশালী সিন্ডিকেটরাই আবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে।”

তবে চার্লস সান্তিয়াগো যেসব সংস্থা অতীতে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে বা আর্থিক অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “বাস্তব সংস্কার শুরু হওয়া উচিত কর্মীদের প্রতি আচরণ থেকে, কোনো অফিস ভবনের আকার দিয়ে নয়।”

অভিবাসী অধিকারকর্মী আদ্রিয়ান পেরেরাও নতুন শর্তগুলোকে “অতিরিক্ত জটিল ও উচ্চস্তরের” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই কঠোর শর্তাবলীর ফলে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠী একচেটিয়া সুবিধা পেতে পারে, যা নতুন সিন্ডিকেট তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।”

তিনি সরকারকে শ্রমিক নিয়োগে “শূন্য নিয়োগ ফি নীতি” বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, যাতে শ্রমিকদের কাছ থেকে ফি আদায় বন্ধ হয় এবং নিয়োগের সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করে।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল সম্প্রতি কৃষি, খনি ও বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশি কর্মীদের কোটার আবেদন পুনরায় চালুর ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য ১০টি কঠোর শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে নেপাল সরকার এই শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ সেগুলো তাদের শ্রমনীতি ও আইনবিরোধী বলে জানানো হয়েছে।

চার্লস সান্তিয়াগো বলেন, “সরকারকে নিয়োগ সংস্থাগুলোর সংখ্যা সীমিত না করে তাদের সততা যাচাই করতে হবে, যাতে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নতুন করে একচেটিয়া দখল নিতে না পারে।”