আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা তানজিন আহমেদ মিঠু মারা যান।
রবিবার সন্ধ্যায় গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিঠু জেলা উত্তর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
সংঘর্ষের সময় মঞ্চ ও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, মিঠুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলে নি- তিনি স্ট্রোকে মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, এই আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তায়েবুর রহমান হিরনের সমর্থকরা।
রোববার ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার ইকবালের সমাবেশস্থলে প্রথম হামলা হয় বলে অভিযোগ। পরে পাল্টা হামলায় হিরনের মহিলা সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। এরপর ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি।
ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেন বলেন, “দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি পক্ষ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দল ও প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা চাই।”
গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, “এখনও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনী মাঠে রয়েছে।”
এর আগে শনিবার রাতে জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পুর কার্যালয়ে হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪০ রামদাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
