
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা- এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “কোন দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়।”
শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’-এ লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের নেতা-কর্মী ও মঠ-মন্দিরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বেদ ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্বালন করেন।
তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, দেশ অস্থিতিশীল হলে ‘পরাজিত ও পলাতক ফ্যাসিবাদী অপশক্তির পুনর্বাসনের’ সুযোগ তৈরি হতে পারে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘গুপ্ত রাজনীতি’ সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অনেক সঙ্গীর ভূমিকা বর্তমানে বহু মানুষের অধিকার ও সুযোগ ক্ষুণ্নের পরিস্থিতি তৈরি করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, “গুপ্ত বাহিনীর অপকৌশল থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম কৌশল হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।” বিএনপি তাই সহযোগিতা ও সমঝোতার নীতি ধরে রেখেছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ভিন্ন মতের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা বিএনপির পরিচয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করাই বিএনপির রাজনীতির লক্ষ্য।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে স্বল্প আয়ের জনগণের জন্য ৫০ লাখ ‘ফ্যামিলি কার্ড’ এবং তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, তরুণদের কারিগরি ও ভাষাগত দক্ষতা বাড়িয়ে দেশে-বিদেশে কাজের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
বৈচিত্র্যের মধ্যেই জাতির ঐক্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে আপনার যেমন অধিকার, আমারও তেমনি অধিকার- কারও বেশি বা কম নয়।” হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাসও দেন তিনি।
মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক সোমনাথ সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদসহ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।





























